কোন একটা চিন্তন এর জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন, কিন্তু সেই চিন্তনের মৃত্যু হয় না। সেই চিন্তন একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়। যেই মহান বিপ্লবী অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের স্বাধীনতাকে হরণ করবার জন্য ব্রিটিশদের কাছে পেতে দিয়েছিলেন তাদের বুক । যে নেতা আজীবন দেশের জন্য আন্দোলন করে গেছেন সেই মহান বিপ্লবী দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কিছু মূল্যবান বক্তব্য এবং অনুপ্রেরণামূলক বাণী আজকে আপনাদের আমি বলব।
তার অনুপ্রেরণা মূলক বক্তব্য শুধু আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম-ই নয় আমাদের রক্তে জাগরিত করে এক নতুন ধরনের অনুপ্রেরণা। তিনি বলেছিলেন “নিজের প্রতি সত্য হলে বিশ্ব মানবের প্রতি কেউ অসত্য হতে পারে না। মানুষ যতদিন বেপরোয়া ততদিন সে প্রাণবন্ত। নরম মাটিতে জন্মেছে বাঙালির এত সরল প্রান।
জগতের সবকিছু খন ভঙ্গুর শুধু একটা জিনিস ভাঙে না। সেটা হলো বস্তু বা ভাবাদর্শক। প্রকৃতির সঙ্গ ও শিক্ষা না পাইলে জীবন মরুভূমিতে নির্বাসনের মতো, সকল রস ও অনুপ্রেরণা হারিয়ে যায়। জীবনের প্রগতির আশা নিজেকে ভয় সন্দেহ থেকে দূরে রাখে এবং সমাধানের প্রয়াস চালাতে থাকে।
শুধুমাত্র রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা জেতা যায়, তাইতো তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব। ভারত ডাকছে রক্ত ডাক দিয়েছে রক্তকে। উঠে দাঁড়াও আমাদের সময় নষ্ট করার মত সময় নেই, অস্ত্র তোলো যদি ভগবান চায় তাহলে আমরা শহীদের মত মৃত্যুবরণ করব। মানুষ টাকা করে বাহ্যিক আরম্ভ দিয়ে জয়বা স্বাধীনতা কোনটাই কেনা যায় না।
আমাদের আত্মশক্তি থাকতে হবে যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে আমাদের উৎসাহ দেবে। যদি জীবন সংগ্রামে ঝুঁকি না থাকে তাহলে জীবনে বাচ্চাটা অনেক ফিকে হয়ে যায়। জীবনকে এমন একটি ভাবধারায় তুলে ধরতে হবে যেন সত্যতা পূর্ণ মাত্রায় থাকে। সত্য অন্বেষণ না করা পর্যন্ত আমরা চুপ করে বসে থাকব না।
আমাদের সবচেয়ে বড় জাতীয় সমস্যা হলো দরিদ্র। অশিক্ষা রোগ এবং বৈজ্ঞানিক উৎপাদন। যে সমস্যাগুলির সমাধান করতে হবে কেবলমাত্র সামাজিক ভাবনা এবং চিন্তার দ্বারাই তা করা সম্ভব। বাস্তব বোঝা অত্যন্ত কঠিন তবে জীবনকে সত্যতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে সত্যকে গ্রহণ করতে হবে।
যতদিন তিনি বেঁচে ছিলেন ততদিন আমাদের দেশের জন্য জাতির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তার কর্ম লগ্ন থেকে বিতর্কিত মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সংগ্রাম আর সংগ্রাম। তিনি চলে গেছেন আমাদের দেশ থেকে কিন্তু বেঁচে থাকবেন দেশের প্রতিটি মানুষের মধ্যে প্রতিটি মানুষের অন্তরে। তাইতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই দেশকে “তাসের দেশ” নাট্য টি উৎসর্গ করেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন “ সদস্যের চিত্তে নতুন প্রাণসঞ্চার করবার পূর্নব্রত তুমি গ্রহণ করেছ। আর সেই কথা স্মরণ করে তোমার নামে আমি তাসের দেশ নাটিকাটি উৎসর্গ করলাম”। আজ আমরা স্বাধীন আজ আমরা স্বাধীন ভারতে প্রত্যেকদিন নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছি। কিন্তু যাদের জন্য এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে সেই আন্দোলনের কেন্দ্রে থাকা নেতার কেন্দ্রে থাকা। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস কে আমরা সারাজীবন মনে রাখব ।
আশাকরি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের অনুপ্রাণিত মূলক কথা বলি আপনার জীবনে চলার পথে সাহায্য করবে।